১০ হাজার টাকার চুক্তিতে নদীতে ডুব দিয়ে প্রাণ গেল যুবকের
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
০৬-০২-২০২৫ ১২:৩৫:৩৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৬-০২-২০২৫ ১২:৩৫:৩৫ অপরাহ্ন
ছবি: সংগৃহীত
ডুবে যাওয়া নৌকা উদ্ধার করতে ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বড়াল নদীতে নেমেছিলেন আব্দুল মজিদ (৩৮)। ডুব দিয়ে নৌকায় দুটি রশিও বেঁধেছিলেন তিনি। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন মজিদ। অবশেষে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেছে ডুবুরি দল।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পরে উপজেলার রাউতারা স্লুইচ গেট এলাকা থেকে নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহত মৎস্যজীবি আব্দুল মজিদ পোতাজিয়া ইউনিয়নের নুকালী গ্রামের মৃত হানিফ আলীর ছেলে।
এর আগে, বুধবার দুপুরে উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের চর-চিথুলিয়া গ্রামের রাউতারা স্লুইচ গেট এলাকায় বড়াল নদীতে ডুব দিয়ে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল আলীম জানান, দুইদিন আগে ইটভাটার মাটিবাহী একটি নৌকা উপজেলার রাউতারা স্লুইচ গেট এলাকায় ডুবে যায়। স্থানীয় এক ডুবুরি ওই নৌকা উদ্ধারের জন্য ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে নৌকা উদ্ধার করে দেওয়ার কথা বলে নৌকার মালিককে। এতে নৌকার মালিক রাজি না হলে স্থানীয় মৎস্যজীবি আব্দুল মজিদ ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে ডুবে যাওয়া নৌকা উদ্ধারের জন্য বুধবার দুপুরে নদীতে ডুব দেন।
তিনি ডুবে যাওয়া নৌকার সঙ্গে রশি বাঁধার জন্য নদীতে প্রথম ও দ্বিতীয় ডুব দিয়ে দু‘টি রশি বাঁধেন। নদীতে তৃতীয় ডুব দিয়ে তিনি আর উঠে আসেননি। দীর্ঘ সময় মৎস্যজীবি মজিদ উঠে না আসায় ওপরে থাকা লোকজন খোঁজাখুজি করতে থাকে। পরে তারা ব্যর্থ হয়ে বাঘাবাড়ি নৌ ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বাঘাবাড়ি নৌ ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম স্পিডবোট নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে হুকের সাহায্যে খোঁজাখুঁজি করে। এতে আব্দুল মজিদের কোন খোঁজ না পেয়ে রাজশাহীর ডুবুরি দলকে খবর দেয়।
বাঘাবাড়ি নৌ ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার শাহদত হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে হুকের সাহায্যে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাইনি। এ কারণে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। পরে তারা রাজশাহী থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছেই উদ্ধার অভিযান শুরু করে। সন্ধ্যার পর নিখোঁজ মৎস্যজীবির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স